জানাযার মাসায়েল pdf মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
সূচীপত্রঃ
- হাদীসের পরিভাষাগুলি
- অনুবাদকের আরয
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
- অসুস্থতার পূর্বে
- রোগ ও রোগীকে দেখা
- মৃত্যু ও মৃত
- শোকপালন
- মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম
- কাফনের কাপড়
- জানাযা
- জানাযার দোয়া
- কাফনের কাপড় কাটার নিয়ম
আরও বই পড়ুন – জানাযা দর্পণ
- জানাযার নামাজের নিয়ম
- জানাযার নামাজের নিয়ত
- কাফন পরানোর নিয়ম
- জানাযার নামাজের ফরজ কয়টি
- জানাযার ইমামতি
- দাফনের নিয়ম
- কবর জিয়ারতের দোয়া
- কবর জিয়ারত করার সূরা
- দাফনের দোয়া
- কবর জিয়ারতের মোনাজাত
- ইছালে ছওয়াব
এই সকল বিষয় নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। নিম্নে বইটির কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
আরও বই পড়ুন – কাফন দাফন জানাযা
রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বেঃ
মাসআলাঃ ১- সুস্থতাকে রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে এবং জীবনকে মৃত্যুর পূর্বে মূল্যায়ন করা উচিত।
জানাযার মাসায়েল pdf মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেণ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার কাঁধ ধরে বললেন, পৃথিবীতে মুসাফির অথবা পথিকের মত জীবন যাপন কর। সুতরাং আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলতেনঃ যদি সন্ধ্যা হয়, তাহ’লে সকালের অপেক্ষা করনা। আর যদি সকাল হয়, তা’হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করনা। আর সুস্থতাকে রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে এবং জীবনকে মৃত্যুর পূর্বে মূল্যায়ন কর। [বুখারী ৭]
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুস্থতা ও ব্যস্ততাহীনতা এমন দুটি নেয়ামত, যার ব্যাপারে অধিকাংশ লোক ক্ষতিতে আছে। [বুখারী ৮]
রোগ এবং রোগীকে দেখার মাসায়েলঃ
জানাযার মাসায়েল – মাসআলাঃ ২ – যে ব্যক্তি রোগীকে দেখতে যাবেনা, কিয়ামতের দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও বই পড়ুন – জানাযার কিছু বিধান
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে আসনি। সে বলবে, হে প্রভূ! আপনাকে কিভাবে দেখতে আসব? আপনি তো সারা বিশ্বের প্রতিপালক। আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি কি জাননি যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে দেখতে যাওনি।
তুমি কি জাননি যে, যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে আমাকে তার কাছে পেয়ে যেতে। হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খানা চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে খানা দাওনি। সে বলবে, হে প্রভূ! আপনাকে কিভাবে খানা খাওয়াতে পারি? আপনি তো সারা বিশ্বের প্রতিপালক। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি কি জান নি যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাঝে খানা চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে খানা দাওনি।
জানাযার মাসায়েল pdf মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী – তুমি কি জাননি যে, যদি তুমি তাকে খাওয়াতে, তাহলে আমাকে তার কাছে পেয়ে যেতে। হে আদম সন্তান আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে পানি দাওনি। সে বলবে, হে প্রভূ! আপনাকে কিভাবে পানি পান করাতে পারি? আপনি তো সারা বিশ্বের প্রতিপালক। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি কি জাননি যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে পানি দাওনি। তুমি কি জাননি যে, যদি তুমি তাকে পান করাতে, তাহলে আমাকে তার কাছে পেয়ে যেতে। [মুসলিম]
মাসআলাঃ ৩ – রোগীকে দেখা-শুনা করার প্রতিদান।
আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে আসে, সে তার কাছে এসে বসা পর্যন্ত জান্নাতের রাস্তায় চলতে থাকে। যখন বসে, তাকে আল্লাহর রহমত ঢেকে নেয়। যদি সকালে দেখতে যায়, তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দু’আ করেন। আর যদি সন্ধ্যায় দেখতে যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা দু’আ করেন। [আহমদ, ইবনু মাজা]
জানাযার মাসায়েল pdf – মাসআলাঃ ৪ – অমুসলিম রোগীকে দেখা-শুনা করা বৈধ।
আনাস (রাঃ) বলেণ, এক ইহুদী গোলাম রাসূল (সাঃ) এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। রাসূল (সাঃ) তাকে দেখতে আসলেন এবং বললেন, তুমি মুসলিম হয়ে যাও। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করল। [বুখারী ১১]
মাসআলাঃ ৫ – রোগীকে দেখার সময় সাতবার এই দু’আ পড়া সুন্নাত।
আরও বই পড়ুন – জানাযার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৭০ টি প্রশ্ন
আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম আইয়াশফিয়াকা। অর্থাৎ মহান আল্লাহ, আরশে আযীমের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি তোমাকে শেফা দেন। তা হলে আল্লাহ তাআলা সেই বান্দাকে রোগমুক্ত করেন। [আবুদাউদ]
জানাযার মাসায়েল
মাসআলাঃ ৬ – অসুস্থতার সময় মুখ থেকে অকৃতজ্ঞতাসূচক কোন বাক্য বের করা উচিত নয়।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) এক বেদুইনকে দেখতে গেলেন। যখন তিনি কোথাও কোন রোগী দেখতে যেতেন তখন তার জন্য বলতেন, “লা বাসা ত্বাহুরুন ইনশা আল্লাহ”। অর্থাৎ ইনশা আল্লাহ এর দ্বারা তোমার পাপ ক্ষমা হবে। লোকটি বলল, আপনি কি বলেছেন। পবিত্রকারী! বরং এ তো উত্তেজক তাপমাত্রা। যা একজন বৃদ্ধকে জোরে ধরেছে এমনকি তাকে কবর পৌঁছিয়ে আসবে। নবী সাঃ বললেন তাহলে সেরূপিই। [বুখারী ১৩]
জানাযার মাসায়েল pdf মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী – মাসআলাঃ ৭ – রোগীকে দেখার সময় রোগীর কাছে এমন কথা বলা উচিত, যাতে সে মনে শান্তি এবং সাহস পায়।
উম্মে সালমা (রাঃ) বলেনঃ, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমরা কোন অসুস্থ বা মৃতকে দেখতে যাবে তখন উত্তম কথা বল, কারণ তোমরা যা বলবে তার উপর ফেরেশতারা আমীন বলে থাকেন। [মুসলিম]
মাসআলা – ৮ – রোগ কে খারাপ বলা উচিত নয়।
মাসআলা-৯- অসুস্থতা, দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদি মানুষের পাপ মোচন এবং মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হয়ে থাকে।
আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। তখন তিনি শক্ত জ্বরে ভূগছিলেন। আমি বললাম, আপনি তো ভীষণ জ্বরে ভূগছেন। আর একারণেই হয়ত আপনাকে দ্বীগুন বদলা দেয়া হবে। তিনি বললেন, হ্যাঁ কোন মুসলিম যখন কষ্ট পেয়ে থাকে তখন আল্লাহ তা’আলা তার পাপসমূহ এমন ভাবে ঝেড়ে দেন যেমনিভাবে (বসন্তকালে) গাছের পাতা ঝড়ে যায়। [বুখারী।]
জানাযার মাসায়েল
ভিডিউ টিউটোরিয়াল পেতে আমাদের চ্যনেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।