অন্য রকম কষ্ট বই ডাউনলোড বইটিতে আছে
- অন্য রকম কষ্ট
- আমার নয়নের বিয়ে
- নাজাতের অসিলা
- একজন পরোপকারী মানুষ কবি আব্দুল হালীম খাঁ
- কবির বিবাহ
- সব কিছু স্বপ্ন মনে হয়
এই সকল বিষয় নিয়ে বইটি লেখা। নিম্নে বইটির কিছু অংশ তুলে ধরা হল।
নাজাতের অসিলা – অন্য রকম কষ্ট
অন্য রকম কষ্ট – এই পৃথিবীতে আলোতে চোখ মেলেছি ১৯৬০ সালের ৮ই এপ্রিল, বাংলা ১৩৬৬ সালের ২৫শ চৈত্র, ২৮ শে রমজান। দ্বিপ্রহরের ঝলমলে আলোতে। এক কিশোরী মায়ের গর্ভে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যার দুঃশ্চিন্তা ছিল একটাই সন্তান হওয়ার পর তেতুল আর চালতা খাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন পর্যন্ত। মাস তিনেক আগে চাচাত বোনের বাচ্চা হয়েছে। তাকে এখনও তেতুল খেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেদিন সকাল থেকেই শরীরটা ভালো লাগছিল না। দাদীর সাথে ফজরের নামাজ পড়ে আবার শুয়ে থাকে কিশোরী। তীক্ষ্ন একটা ব্যাথায় লাভ দিয়ে উঠে বসে। বুকের মধ্যে ধরাস করে ওঠে। কি ব্যাপার বাচ্চা হওয়ার ব্যাথা নাকি? সর্বনাশ! তাহলে তো আর তেতুলের চাটনি খাওয়া যাবে না। ব্যাথাটা থেমে যায়।
আরও বই পড়ুন – বিয়ে : করণীয় ও বর্জনীয়
একটা লাঠি নিয়ে উঠোনের পাশেই তেতুল গাছের নিচে আসে কিশোরী। চিকন চিকন তেতুল গাছ ভর্তি। লাঠি দিয়ে পাঁচ ছয়টা তেতুল পারতেই আবার ব্যাথা। তেতুল গাছ জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। ব্যাথা কমতেই দৌড়ে আসে রান্না ঘরে। তেতুল টুকু শীল পাটায় থেতো করতে না করতেই ব্যাথাটা তীব্র বেগে আসে, কিশোরী একেবারে কুকড়ে যায় যেন।
পাশে বসে রান্না করছিলেন মেয়েটির মা। দু’হাতে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলেন, কি হইছে মা কি হইছে তোর? ব্যাথা উঠছে নাকি? কখন থেকে এমন হচ্ছে।
চোখে পানি এসে যায় কিশোরীর। অন্য রকম কষ্ট মায়ের বুকের সাথে মিশে থাকে। ব্যাথাটা আবার কমে গেছে। বলে সকাল থেকে। মা চিৎকার করে ওঠেন। কি সর্বনাশ! একি পাগল মেয়ে। এই তেতুল খাওয়ার জন্য ব্যাথার কথা গোপন রেখেছিস? তাড়াতাড়ি শামুরিকে ডাকতে থাকেন ও আম্মা-আম্মা শিগগির আসেন, কি হইছে বউ মা কি হইছে? ও আম্মা খুকির তো ব্যাথা উঠছে। দাদী এসে খুকিকে ধরতেই মা তাড়াতাড়ি চানি তৈরী করতে বসেন। নাতনীকে ধরে শোবার ঘরে নিতে নিতে দাদী মাকে উদ্দেশ্য করে বলেন: “তা তুমি এখন ওসব কি করছ?”
ভিডিউ টিউটোরিয়াল পেতে আমাদের চ্যনেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।